শক্রবার ২০ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
খেলাধুলা

মাশরাফিকে বিসিবির সভাপতি করার দাবিতে ফেসবুকে ঝড়

স্পোর্টস ডেস্ক- আমাদের জমিন ০৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:২৪ এ.এম

আকস্মিক অবসর নেওয়ার একদিন পরই ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তামিম ইকবাল। সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা জানালেন তামিম।

বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে তামিমকে ফেরানোর ঘটনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফির গুরুত্ব আরও পরিষ্কার হলো। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকজুড়ে তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি করার দাবি উঠেছে। তামিমের ফেরার সিদ্ধান্তে স্বস্তি জানিয়েছেন লাখ লাখ ক্রিকেট ভক্ত। একই সঙ্গে অনেকেই মাশরাফিকে নিয়ে দাবি তুলতে দেখা যায়। 

তবে ফেসবুকে দাবি উঠলেও এখনই মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি করার সুযোগ নেই। এই পদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিধিবিধান রয়েছে, এজন্য কোনো ক্লাবের সভাপতি থাকতে হয় অথবা বোর্ড পরিচালক বা কাউন্সিলর হয়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাশরাফির তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তবুও ফেসবুকজুড়ে দাবি তুলে চলেছেন ভক্তরা।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তামিম তারকা ক্রিকেটার, কিন্তু ক্ষমতার কাছে অসহায়। তার বিড়ম্বনা খালি চোখে ধরা পড়ার কথা না। নির্দেশিত হওয়ার পর অবসর প্রত্যাহার ছাড়া তার কোনো বিকল্প ছিল কি? তামিমের অবসরের ঘোষণায় এত আহা-উহু হলো, কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডকে রাহুমুক্ত করার দাবি কোনো সংবাদমাধ্যমে শোনা গেল না।...’

একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘তামিমকে ফেরানোর চেয়ে জরুরি ছিল পাপনকে সরানো।’

সাংবাদিক ও গবেষক মিঠুন মোস্তাফিজ শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাশরাফি ও তামিমের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে মানায়। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ।’

৫০ হাজারের বেশি সদস্যের গ্রুপটির ওই পোস্টে অনেকেই সহমত জানিয়েছেন। তবে লেখক রাসয়াত রহমান জিকো অবশ্য বলেছেন, ‘পাপনই ঠিক আছে এদের জন্য।’

অপর আরেক সাংবাদিক ফেসবুকে বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অভিনন্দন তামিম ইকবাল। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনই সময় প্রিয় মাশরাফির হাতে বিসিবির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া।’

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মনে করা হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পান মাশরাফি। কিন্তু ইনজুরির কারণে দল থেকে বাইরে চলে যান কয়েক বছরের জন্য।

এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে আবারও বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পান মাশরাফি। এরপর থেকেই পাল্টাতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র। পরে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০২০ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে সমাপ্তি টানলেন মাশরাফি। ২০২০ সালে যখন মাশরাফি অবসর নেন তখনও এমন দাবি উঠেছিল।

 


এই সম্পর্কিত আরও খবর